
চট্টগ্রাম অস্ত্র পাচার মামলায় বাংলাদেশের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সহ ছ’জনের মৃত্যুদণ্ড মকুব করে দিল আদালত। ২০০৪ সালে চট্টগ্রামে ট্রাকবোঝাই অস্ত্র পাচার মামলায় বাংলাদেশের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর-সহ ছ’জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল আদালত। বুধবার ঢাকা হাই কোর্ট সেই নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছে। তাঁদের জেলমুক্তি দিলেও এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত ভারতের আলফা প্রধান পরেশ বড়ুয়াকে অবশ্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে আদালত।বাংলাদেশের হাই কোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের বেঞ্চ তাঁদের সাজা মকুবের নির্দেশ দিয়েছেন। এই মামলায় মোট ১৪ জন অভিযুক্তের মধ্যে মন্ত্রী বাবর ছাড়া আরও ছ’জনকে মুক্তি দেওয়া হলেও আলফা প্রধান পরেশের সাজা কমিয়ে ফাঁসির পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বাকি ছ’জন আসামির সাজা কমিয়ে ১০ বছর করা হয়েছে।প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল চট্টগ্রাম থেকে ১০টি ট্রাকবোঝাই অস্ত্র আটক করা হয়। বাজেয়াপ্ত হয় ৪,৯৩০টি আগ্নেয়াস্ত্র, ২৭,০২০টি গ্রেনেড, ৮৪০টি রকেট লঞ্চার, ৩০০টি রকেট, প্রায় ১০ লক্ষ বুলেট। এছাড়া আরও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র আটক করে পুলিশ। অস্ত্র আইনে মামলা হয় কর্ণফুলী থানায়। চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে বাবর ছাড়াও প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াত-এ-ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর। এছাড়া বাংলাদেশ গোয়েন্দা বিভাগের দুই কর্তার নামও জড়িয়ে যায় ওই মামলায়। সেই সময় অস্বস্তিতে পড়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সরকার। কারণ বাবর ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তাঁর সরকারেরই স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসাবে নিযুক্ত ছিলেন। এই মামলায় ২০১৪ সালে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা আদালত দোষী সাব্যস্ত করে বাবর সহ ১৪ জনকে। প্রত্যেকেরই মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল আদালত। এদিন বাবর সহ ছ’জনকে মুক্তি দেওয়ায় ঢাকা হাই কোর্টের বিচার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।