বাংলাদেশ আছে বাংলাদেশেই। কিছুদিন স্থগিত থাকলেও ফের বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় কট্টরপন্থী ও মৌলবাদীদের হাতে আক্রান্ত সেদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুরা। সাতক্ষীরা, খুলনা, ময়মনসিংহ, বরিশাল সহ একাধিক জায়গায় হিন্দুদের বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটছে। আসবাবপত্র থেকে শুরু করে সোনা, টাকা কিছুই বাদ যাচ্ছে না। এমনকি গবাদি পশু ছাগল বা গরুও চুরি হয়ে যাচ্ছে। তার ওপর বুধবার রাতে চট্টগ্রামের চৌধুরীহাটের ফতেয়াবাদে তিনটি মন্দিরে চুরি হয়েছে। মন্দিরগুলির বিগ্রহ থেকে গয়না চুরি করে নেওয়া হয়েছে। প্রণামীতে থাকা টাকাও চুরি করে নিয়ে গেছে দুষ্কৃতীরা। ফতেয়াবাদের তিনটি মন্দির সত্যনারায়ণ মন্দির, শ্রীশ্রী বিশ্বেশ্বরী কালী মন্দির ও শ্রীশ্রী জগদ্বন্ধু আশ্রমে রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতীরা চুরি করে। বেছে বেছে হিন্দুদের ধর্ম স্থানে যেভাবে চুরি এবং হামলার ঘটনা ঘটছে তাতে সেদেশের সংখ্যালঘুরা যে একেবারেই নিরাপদে নেই তা নিশ্চিন্তে বলা যেতে পারে।
এদিকে হামলার ঘটনায় তাঁর দলের নেতাকর্মীরা যে জড়িত নন তা প্রমাণ করতে মরিয়া বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়া। আমেরিকার রাষ্ট্রপতি হিসেবে কিছুদিনের মধ্যেই শপথ নেবেন হিন্দুদের বন্ধু হিসেবে পরিচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প। আন্তর্জাতিক স্তরে যাতে তাঁর দলের সম্পর্কে খারাপ ধারণা না জন্মায় তাই ইতিমধ্যেই ইংল্যান্ডে গিয়ে দরবার করা শুরু করেছেন খালেদা। এই আবহেই বিএনপি নেতারা একযোগে জামাত এবং ইউনূস সরকারকে আক্রমণ করছেন। বাংলাদেশের দুবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদার অনুমতি ছাড়া তাঁরা যে জামাত বা ইউনূস বিরোধী মন্তব্য করতে পারেন না তা সকলেই জানেন। শুধু তাই নয়, সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলার নেপথ্যে জামাত বা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূসের অনুগামীরাই যে জড়িত তা প্রমাণ করতেও মরিয়া খালেদার দলের নেতারা। তাই তো এদিন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন ইউনূস সরকারকে।