সিবিআই তদন্তে অসন্তুষ্ট, হাই কোর্টে মামলা আরজি কর হাসপাতালে মৃত চিকিৎসকের পরিবারের

আগে কলকাতা পুলিশ বা সিআইডি তদন্তে অনীহা দেখিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলেন আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষিত ও খুন হওয়া চিকিৎসকের পরিবারের লোকজন। সিবিআই তদন্তের দাবিতে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। আদালতের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত হচ্ছে। সম্প্রতি ৯০ দিনের মধ্যে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দিতে না পারায় জামিন পেয়েছেন আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। তারপর থেকেই সিবিআই তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ তুলে সোচ্চার হয়েছেন মৃত চিকিৎসকের বাবা-মা এবং সমাজের একটা বড় অংশ। এবার সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টের দ্বারস্থ মৃতের বাবা ও মা। তদন্তকারী কেন্দ্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ তুলে নতুন করে তদন্ত চেয়ে বৃহস্পতিবার হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। মৃত চিকিৎসকের বাবা-মা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, সিবিআই তদন্তে তাঁদের আর কোনও আস্থা নেই। তাই তাঁরা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।

প্রসঙ্গত, সিবিআই তদন্ত নিয়ে নির্যাতিতার বাবা-মায়ের ক্ষোভের আঁচ মিলেছিল দিন দশেক আগে। গত ১০ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানিতে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে আরজি করের ওই মহিলা চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ এবং খুনের বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। প্রধান বিচারপতি তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবীর কাছে জানতে চেয়েছিলেন কত দিনে বিচারপ্রক্রিয়া শেষ হবে? সিবিআইয়ের আইনজীবী তুষার মেহতা আদালতে জানিয়েছিলেন, দ্রুতই বিচারপ্রক্রিয়া শেষ হবে। সিবিআইয়ের আইনজীবী আদালতকে জানিয়েছিলেন, তাঁরা নিয়মিত মৃত চিকিৎসকের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। নির্যাতিতার বাবা-মা অবশ্য আদালতকে জানিয়েছিলেন, সিবিআই তাঁদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করে না। ওইদিনই সিবিআই মিথ্যে কথা বলছে বলে দাবি করেছিলেন মৃতের বাবা-মা।

 আরজি করের মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় তথ্যপ্রমাণ লোপাট এবং কর্তব্যে গাফিলতি মামলায় ৯০ দিন পেরিয়ে গেলেও চার্জশিট দিতে পারেনি সিবিআই। চার্জশিট না দেওয়ায় জামিন পেয়ে যান ওই হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ। তারপর থেকেই চরম ক্ষুব্ধ ছিলেন অভয়ার মা এবং বাবা। সিবিআই তদন্তে অসন্তোষ বোধ করে এদিন হাই কোর্টের দ্বারস্থ হওয়াটা সেটাই প্রমাণ করে।