বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
আন্তর্জাতিক কল সেন্টার প্রতারণা চক্রের হদিশ পেতে রাজ্যের ১০টি জায়গায় হানা দিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।কেন্দ্রীয় এজেন্সির স্ক্যানারে কলকাতার এক ব্যবসায়ী। ইডি-র দাবি কলকাতায় বসে বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের সফটওয়্যার পরিষেবা দেওয়ার নাম করে প্রতারণা হয়েছে। কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে ক্রিপ্টো কারেন্সির মাধ্যমে পাচার করা হয়েছে বলে দাবি ইডির।
এখনও পর্যন্ত কল সেন্টার প্রতারণায় আর্থিক কেলেঙ্কারির পরিমাণ ২৫ থেকে ৩০ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে একসঙ্গে ১০ জায়গায় হানা দিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের টিম। কলকাতা, হাওড়া-সহ ১০ জায়গায় চলছে তল্লাশি অভিযান। প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে জারি রয়েছে ইডি- র অভিযান। বালিগঞ্জ, তোপসিয়া, পিকনিক গার্ডেন, সল্টলেক সেক্টর ফাইভ, এইসব জায়গাতেও পৌঁছে যায় ইডির টিম। ইডি সূত্রের খবর, সল্টলেক সেক্টর ফাইভে রয়েছে এই কল সেন্টারের অফিস। রাজারহাট, নিউটাউন, বাগুইআটিতেও চলছে ইডির তল্লাশি অভিযান। একাধিক নথি এবং তথ্য উদ্ধার হয়েছে। কলকাতার এক ব্যবসায়ীর নাম উঠে এসেছে এই ঘটনায়।
ইডি সূত্রে খবর, ব্যবসায়ীর নাম রাজেশ গোয়েঙ্কা। তাঁর বাড়িতেও রয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। ভিআরএম বিজনেস প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি সংস্থাও কেন্দ্রীয় এজেন্সির নজরে রয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, কলকাতায় কল সেন্টার খুলে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকার নাগরিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হতো। তাদের থেকে সফটওয়্যার পরিষেবা দেওয়ার নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে প্রতারণা করে। সেই টাকা আবার ক্রিপ্টো কারেন্সির মাধ্যমে পাচার করা হয়েছে। কোনও হাওয়ালা র্যাকেটের ব্যবহার করা হয়নি।গত কয়েক মাস ধরেই অনুসন্ধান চালাচ্ছিল ইডি। জানা যায়, বাঙ্গুর এলাকাতেও একটি কল সেন্টার খোলা হয়েছিল।