ইমামোগলুকে হয়রানির প্রতিবাদে তুরস্কে তুমুল বিক্ষোভ, এরদোয়ানের পদত্যাগ দাবি

বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
কুর্দি জঙ্গি সংগঠনকে সাহায্য সহ বেশকিছু গুরুতর অভিযোগ তুলে ইস্তানবুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুকে গ্রেফতার করেছে এরদোয়ান সরকার।একরেম ইমামোগলুর গ্রেফতারির বিরোধিতায় তুরস্কে যেভাবে মানুষ পথে নেমেছে তাকে ২০১৩ সালের পরে সবচেয়ে বড় সরকারবিরোধী আন্দোলন বলে অভিহিত করেছেন অনেকে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে হাজারো মানুষ।তাঁর পদত্যাগও দাবি করা হয়েছে।গত শুক্রবারের জমায়েতে যোগ দিয়েছিলেন প্রায় তিন লক্ষ মানুষ। বিক্ষোভ দমনে ইস্তাম্বুলের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন।আঙ্কারা ও পশ্চিম উপকূলীয় শহর ইজমিরেও পুলিশ বিক্ষোভকারীদের উপর জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে বলে জানা গেছে।যা তথ্য বুধবার থেকে এই বিক্ষোভ তুরস্কের ৮১টি প্রদেশের মধ্যে ৫৫টিরও বেশিতে ছড়িয়ে পড়েছে।
তুরস্কের রক্ষণশীল রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখা হচ্ছে রিপাবলিকান পিপলস পার্টির একরেম ইমামোগলুকে।২০২৮ সালের আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাঁকে এরদোয়ানের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখা হচ্ছে। গত বছর দ্বিতীয় মেয়াদে ইস্তাম্বুলের মেয়র নির্বাচিত হন একরেম ইমামোগলু। সেই স্থানীয় নির্বাচনে ইস্তাম্বুল এবং আঙ্কারায় জয়ী হয় তার দল সিএইচপি।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের ভাষায় নাটক করছে বিরোধীরা। তারা জনসাধারণের শান্তি বিঘ্নিত করছে, জাতিকে মেরুকরণ করার চেষ্টা করছে।ইমামোগলুর মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদীরা দেশজোড়া আন্দোলনের ডাক দিলেও পাল্টা হুঁশিয়ারিতে এরদোয়ান বলেছেন, রাস্তায় কোনোভাবেই জঙ্গিপনা বরদাস্ত করা হবে না।

07:11