হিংসাদীর্ণ মুর্শিদাবাদ যাচ্ছেন মমতা, ধুলিয়ানের ঘটনা ষড়যন্ত্র বলে দাবী

Upload By K. Halder at 22th March 2025, 05:29 PM

বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
ওয়াকফ সংশোধনী বিল সংসদে পাশ হওয়ার পর থেকেই উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদ। ধুলিয়ানসহ একাধিক এলাকায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। এর জেরে প্রাণহানিও হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজ্যকে সেনা নামাতে হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার শান্তি বজায় রাখার আবেদন করলেও, বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছিলেন কেন এখনও পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী নিজে অশান্তি কবলিত এলাকায় যাচ্ছেন না?
মঙ্গলবার মেদিনীপুরে প্রশাসনিক পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, তিনি মে মাসের প্রথম সপ্তাহে মুর্শিদাবাদ যাচ্ছেন। একই সঙ্গে মৃতদের পরিবার ও ঘরছাড়া এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দুটি ওয়ার্ডে অশান্তি হয়েছে। আমরা দাঙ্গা চাই না। ধুলিয়ানে যে ঘটনা ঘটেছে, সেখানে বহিরাগতদের ভূমিকা রয়েছে। কিছু স্থানীয় লোককে সঙ্গে নিয়ে কীভাবে এই চক্রান্ত করা হয়েছে, আমরা তা ফাঁস করে দেব।
তিনি বলেন যারা মারা গেছেন, তাদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। তাদের সন্তানদের পড়াশোনার দায়িত্ব নেওয়ার কথা এমপিরা বলেছেন, সরকারও সে দায়িত্ব নিতে পারে। যাদের বাড়ি ভাঙা হয়েছে, তাদের বাংলার বাড়ি প্রকল্পে ঘর তৈরি করে দেওয়া হবে। যাদের দোকান লুট হয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে সার্ভে চলছে।
তিনদিন আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, তিনি এখনই যাচ্ছেন না, কারণ তিনি চান পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হোক। মানুষের আস্থা ফিরুক, তারপর তিনি যাবেন । রাজ্যপালকেও ঘটনাস্থলে না যাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন যদিও রাজ্যপাল সে কথা শোনেননি। তবে এদিন মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, মে মাসের প্রথম সপ্তাহে আমি নিজে মুর্শিদাবাদ যাব এবং সব ব্যবস্থা করে দিয়ে আসব। এইটুকু ভরসা আপনারা করতে পারেন, নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন।
বিগত কয়েকদিন ধরেই বিরোধীরা অভিযোগ তুলছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী যেখানে অশান্তি হয়েছে, সেখানে নিজে উপস্থিত না থেকে দায়িত্ব এড়াচ্ছেন। সেই প্রেক্ষিতে
রাজ্য সরকার সূত্রে জানা যাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে এলাকা চিহ্নিত করে পুনর্বাসনের কাজ আরও জোরদার করা হবে। বাড়ি নির্মাণ, ক্ষতিপূরণ এবং পুনর্বাসনের কাজ সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে চায় রাজ্য প্রশাসন। সেই কারণেই মুখ্যমন্ত্রী নিজের উপস্থিতিতে পুরো বিষয়টি নিশ্চিত করতে চান। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, মানুষের পাশে দাঁড়ানোই আমাদের কর্তব্য। আমি দাঙ্গা চাই না। শান্তিই হোক বাংলার পথ।

16:18