বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
কড়া আইনি নির্দেশ এবং সতর্ক প্রশাসনিক ব্যবস্থায় রাজ্যে শান্তিতেই পালিত হল রামনবমী। রামনবমী নিয়ে রাজ্য জুড়ে ছিল আশংকা ও উত্তেজনা। কোথাও যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য সতর্ক ছিল রাজ্য ও কলকাতার পুলিশ প্রশাসন। রামনবমীতে যাতে কোনও গণ্ডগোল না হয় এদিন সর্বত্র বাড়তি পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছিল। এই কারণেই আগামি ৯ তারিখ পর্যন্ত পুলিশের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। আদালতের নির্দশে মিছিলে ধাতব অস্ত্র নিষিদ্ধ ছিল।
রবিবার ঠনঠনিয়া কালী বাড়ি থেকে এক মিছিল বেরয়। তাতে অংশ নেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। এই মিছিলে বহু সংখ্যালঘূ মানুষও সামিল হন। কুণাল বলেন ঈদে যেমন হিন্দুরা সিমুই খান, আনন্দ করেন তেমনই এদিনও ভিন ধর্মের মানুষও উৎসবে যোগ দিয়েছেন, আনন্দে সামিল হয়েছেন। এটা মিলনের উৎসব সব ধর্মের মধ্যে সম্প্রীতির বার্তা দেওয়ার উৎসব।
এদিন বিধাননগরে এক মিছিলে অংশ নেন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপধ্যায়।মিছিলের রুট নিয়ে তাঁর সঙ্গে পুলিশের কথাকাটাকাটি হয়। পরে তিনি মিছিল অন্য পথে নিয়ে যান। এদিন বাগবাজারের এক মন্দিরে পুজো দেন মন্ত্রী শশী পাঁজা। তিনিও সকলকে রামনবমীর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
রবিবার হাওড়া্র শিবপুর এলাকায় রামনবমীর মিছিল ঘিরে ছিল কড়া নিরাপত্তা। পদস্থ পুলিশ কর্তা প্রবীন ত্রিপাঠী নিজে মিছিলের ওপর নজরদারি করেন। ছিল ড্রোন দিয়ে নজরদারিরি ব্যবস্থা। এদিন মেদিনীপুরে রামনবমীর মিছিলে সামিল হন দিলীপ ঘোষ। তিনি বাইকে চেপে মিছিল করেন। পূর্ব মেদিনীপুরে আবার মিছিলে অংশ নেন শুভেন্দু অধিকারী। সোনাচূড়ার মন্দিরে পুজো দিয়ে তিনি মিছিলে সামিল হন।