শাহের মন্ত্রকের সবুজ সঙ্কেত, কেজরিওয়ালের নতুন বিপদ!

বঙ্গবার্তা ডেস্কঃ আবগারি দুর্নীতি মামলায় দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চালাতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)কে অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।দিল্লি নির্বাচনের আগে আম আদমি পার্টি (আপ) নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জন্য নতুন বিপদ বলেই মনে করা হচ্ছে। প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে মামলাতেও এজেন্সির পদক্ষেপকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গত কয়েকদিন আগে একই ভাবে এই সংক্রান্ত মামলায় দিল্লির উপরাজ্যপাল অনুমোদন দেয়।এর ফলে ভোটের মুখে যে দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টি সুপ্রিমোর উপর যে চাপ বাড়তে চলেছে তা কার্যত স্পষ্ট।
আগামী মাস অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির শুরুতেই দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন।এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্রমশ চড়ছে পারদ।বিশেষ করে বিজেপি এবং আপ, দুই দলের কাছেই প্রেস্টিজিয়াস ফাইট। একদিকে আপ এবং কেজরিয়ালের বিরুদ্ধে একের পর এক দুর্নীতিকে হাতিয়ার করে প্রচার করছে বিজেপি। অন্যদিকে মূল্যবৃদ্ধি সহ একাধিক ইস্যুকে বিজেপির বিরুদ্ধে হাতিয়ার করা হচ্ছে।
গত নভেম্বর মাসে দেওয়া রায়ে সুপ্রিম কোর্ট জানায় ইডি-কে কোনও জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করতে প্রয়োজন কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরোর মতো অনুমোদন ও রাজ্য সরকারের সম্মতি। ইডি এই ক্ষেত্রে বেশ কিছু সুবিধা পেত।কোনও জন প্রতিনিধির বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের সম্মতির প্রয়োজন হত না। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণের পরেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট অনুমতি পেতে উঠে পড়ে লাগে। দিল্লির উপরাজ্যপাল এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে চিঠি দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তছরুপ প্রতিরোধ আইনে বিচারের অনুমতি চাওয়া হয়।

অন্যদিকে প্রয়োজনীয় অনুমোদন না থাকায় দিল্লি আদালতে অভিযোগ গঠন স্থগিত ছিল।এবার সেই বাধা দূর হল।সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কয়েক সপ্তাহ পরে কেজরিওয়াল দিল্লি হাইকোর্টে গিয়ে নিম্ন আদালতের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেন, যেখানে তার বিরুদ্ধে চার্জশিট নেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন যে ইডি তাকে অভিযুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি পায়নি।এই দুই নেতাই এখন আগামী ৫ই ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের প্রচারে ব্যস্ত।কেজরিওয়াল নতুন দিল্লি আসন থেকে নির্বাচনে লড়ার জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।রাজনৈতিকভাবে, এই নতুন ঘটনা সম্ভবত নির্বাচনের আগে শাসক আপের বিরুদ্ধে বিজেপির আক্রমণকে আরও তীব্র করবে।