আরজি কর কাণ্ডে তোপের মুখে পড়তে হয়েছিল সিবিআইকে। তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ তুলে সরব হতে দেখা গেছে আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষিতা ও খুন হওয়া মহিলা চিকিৎসকের বাবা-মাকে। এবার ফের সিবিআই তদন্তে অসন্তোষ প্রকাশ চাকরিহারা শিক্ষকদের। ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি বুধবার শেষ হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না, বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ গত ৭ জানুয়ারি এই মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়ায় এদিন ছিল শুনানির তারিখ। বুধবার আদালতে গ্রুপ সি চাকরিহারাদের আইনজীবী দুষ্মন্ত দাভে আদালতে বলেন, ‘দুর্নীতি হয়েছে। কী ভাবে দুর্নীতি, কত জন তার সঙ্গে যুক্ত, তার অনুসন্ধান হয়নি।’ তবে সঠিকভাবে তদন্ত হলে যোগ্য এবং অযোগ্যদের চিহ্নিত করা সম্ভব ছিল বলেও জানান চাকরিহারাদের আইনজীবী। এই তদন্ত ‘ক্যাজ়ুয়াল’ ভাবে হয়েছে বলেও আক্ষেপের সঙ্গে জানান তিনি। দুষ্মন্ত আদালতকে জানান, ওএমআর শিট আইন মেনে বাজেয়াপ্ত করা হয়নি।
অন্যদিকে নবম-দশম এবং গ্রুপ ডি চাকরিহারাদের পক্ষ থেকেও এদিন আদালতে অংশগ্রহণ করা হয়। তাঁদের আইনজীবী মুকুল রোহাতগি বলেন, ‘মামলা করা হয়েছিল চাকরি পাওয়ার জন্য। হাই কোর্টে চাকরি বাতিলের জন্য কেউ আবেদন করেননি আসল ওএমআর শিট এখনও পাওয়া যায়নি। যে ওএমআর শিটগুলি উদ্ধার করা হয়েছিল, তা ফরেন্সিকের জন্য পাঠানো হয়। কিন্তু রিপোর্ট আসার আগেই রায় ঘোষণা হয়ে গিয়েছে।’ এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ২৭ জানুয়ারি করা হয়েছে।
এবার সিবিআই তদন্তে অসন্তোষ প্রকাশ করল চাকরিহারারা
