পার্থ-মানিক-কল্যাণ ত্রয়ী ছিলেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলার প্রধান

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেছেন প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে তিনি যে বড়ই ধুরন্ধর ছিলেন তা পরিষ্কার করে দিয়েছে সিবিআই। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সবচেয়ে লাভবান হয়েছিলেন পার্থই। তবে সামনে নিজে না থেকেই তিনি লোক মারফত সেই কাজগুলি করতেন। তাই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের মতো ‘কাঠের পুতুল’কে সামনে রেখে একাধিক সংস্থা খুলে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা কাজে লাগানো হতো। বিভিন্ন ভাবে লগ্নি করা হতো। বিচার ভবনে বিশেষ ইডি আদালতে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার চার্জ গঠনের প্রক্রিয়ায় সেই দাবি করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। ইডির দাবি, অনেকেই এই চক্রের অংশ। পার্থ তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতার নামে একাধিক কোম্পানি খুলে দুর্নীতির টাকা লগ্নি করতেন। অর্পিতা ছাড়া আরও বেশ কয়েকজনকে কাঠের পুতুল করে রেখেছিলেন পার্থ। তাঁদের নামে সংস্থা খুলে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা লগ্নি করতেন।
এদিকে পার্থর জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে আরও বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছে ইডি। ইডির দাবি ৫ কোটি নয়, আদতে ১৫ কোটি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ রয়েছে কল্যাণময়ের বিরুদ্ধে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, পার্থ-মানিক ভট্টাচার্য (প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি) ও কল্যাণময় এই তিনজন মিলে একটি চক্র চালাতেন।