মালদহের তৃণমূল নেতা খুনে দেওয়া হয়েছিল ৫০ লক্ষ টাকার সুপারি। আর সেই সুপারি দিয়েছিলেন তৃণমূলেরই এক নেতা ও তাঁর সঙ্গী। এমনই দাবি করলেন এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার।
তৃণমূল নেতা তথা মালদহ পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দুলাল সরকার খুনে ‘মূল চক্রী’ তৃণমূলেরই মালদহ শহরের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি। তাঁর সঙ্গে এই খুনের ঘটনায় অন্যতম চক্রান্তকারী ছিলেন নরেন্দ্রনাথের ঘনিষ্ঠ স্বপন শর্মা। নরেন্দ্রনাথের সঙ্গে দুলালের গন্ডগোলের জেরেই মালদহ পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে খুনের ছক কষা হয়। খুনের নেপথ্যে আর্থিক লেনদেনও রয়েছে। তৃণমূল নেতা খুনে এ পর্যন্ত সাত জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার জানান, পাঁচ ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদের পর নরেন্দ্রনাথকে থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তাঁকে এবং স্বপনকে মঙ্গলবার জিজ্ঞাসাবাদ করে তারপরই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। স্বপন এলাকার কুখ্যাত দুষ্কৃতী। বোমাবাজি, খুন সহ অজস্র অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
এদিকে বুধবার নরেন্দ্রনাথ এবং স্বপনকে আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তাঁদের তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
জানা গিয়েছে, এর আগেও দুলালকে মারার হুমকি দিয়েছিলেন নরেন্দ্রনাথ। পুলিশ সেই তথ্য জানতে পেরেছে। একই দাবি করেছেন তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী।