সাংসদ অভিষেকের কেন্দ্রেই গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতা

বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
এবার ডায়মন্ড হারবারে গুলিবিদ্ধ এক তৃণমূল নেতা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার নোদাখালি থানার ডোঙারিয়া মনসাতলা এলাকায় তৃণমূলের এক যুবনেতাকে গুলি করে খুন করার চেষ্টা করে তিন দুষ্কৃতী। গুলিবিদ্ধ কৃষ্ণপদ মণ্ডলকে ভর্তি করা হয়েছে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারের মধ্যেই পড়ে নোদাখালি থানা। সেই লোকসভা কেন্দ্রে এবার আক্রান্ত তৃণমূল নেতা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে এলাকায়। জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল ১১টা নাগাদ বাইকে করে যাওয়ার সময় রায়পুর এলাকার তৃণমূল যুবনেতা কৃষ্ণকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় তিন দুষ্কৃতী। তারপর পালিয়ে যায়। গুলিবিদ্ধ হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন কৃষ্ণ। আশপাশের লোকজন ছুটে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার কারণে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। কে বা কারা গুলি চালাল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
সম্প্রতি মালদহ, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তেই একের পর এক শাসকদলের নেতা আক্রান্ত হচ্ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অভিযুক্ত হিসেবে শাসক দলের নেতাদের নামই উঠে আসছে। মাস তিনেক আগে খোদ কলকাতাতে নিজের বাড়ির সামনে গুলিবিদ্ধ হতে হতে বেঁচেছেন কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ। মালদহে খুন হয়েছেন একজন তৃণমূল কাউন্সিলর। প্রকাশ্যে জেলা পুলিশ সুপারকে সতর্ক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেও রাজ্যে দুষ্কৃতীদের দাপট যে কমেনি তা এই ঘটনায় প্রমাণ করে দিচ্ছে। তবে এই ঘটনার পিছনে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নাকি অন্য কোনও শত্রুতা আছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রের খবর, কৃষ্ণপদ সম্প্রতি রাজনীতি থেকে দূরত্ব বাড়িয়ে ব্যবসায় মন দিয়েছিলেন। পিএইচই-এর ঠিকাদারির কাজ করছিলেন তিনি।