বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
অনুমোদনের পর, যৌথ সংসদীয় কমিটিতে পাশ হয়ে গেল ওয়াকফ বিল। বিরোধীদের তোলা সংশোধনী প্রস্তাবগুলি খারিজ হওয়া নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। সবমিলিয়ে এই বিলে ৪৪টি সংশোধনীর দাবি করেছিলেন বিরোধী সাংসদরা। কিন্তু তাঁদের দাবি নাকচ করে দিয়েছে কমিটি। বিলে মাত্র ১৪টি সংশোধনী প্রস্তাব করেছে কমিটি। বিরোধী সাংসদরা দাবি করেছেন, দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় সরকার তাড়াহুড়ো করে এই বিল পাশ করানোর চেষ্টা করছে।
গত বছর আগস্ট মাসে পেশ হয় ওয়াকফ বিল। এই নিয়ে আলোচনার জন্য বিরোধীদের দাবি মেনে যৌথ সংসদীয় কমিটি গড়েছিল সরকার। গত আগস্টে যে বিল পেশ করা হয়েছিল, সেই বিলে ১৪টি সংশোধনী প্রস্তাব করেছে কমিটি। কমিটিকে মূলত ২৯ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছিল কিন্তু সেই সময়সীমা ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল, যা বাজেট অধিবেশনের প্রথম পর্বের শেষ দিন।
বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, জেপিসির চেয়ারম্যান জগদম্বিকা পাল রিপোর্ট দেওয়ার জন্য বড্ড বেশি তাড়াহুড়ো করছেন। এই নিয়ে এখনও বহু আলোচনার প্রয়োজন আছে। বহু পক্ষের সঙ্গে কথা বলা দরকার। বিশৃঙ্খলার জেরে ১০ বিরোধী সাংসদকে শুক্রবারের জন্য সাসপেন্ডও করা হয়।
বিরোধী সাংসদদের মতে, সংসদীয় প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার অভাব দেখা যাচ্ছে। তাঁদের দাবি জেপিসির চেয়ারম্যান জগদম্বিকা পাল রিপোর্ট দেওয়ার জন্য বড্ড বেশি তাড়াহুড়ো করছেন। পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ ১০ জন সাংসদকে একদিনের জন্য সাসপেন্ড করার ঘটনায় বিষয়টি নিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে চর্চা শুরু হয়।তবে ওয়াকফ সংশোধনী বিলকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক ময়দানে উত্তেজনার পারদ আরও চড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।