
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের দেশছাড়া করা বা নিধন করাই এখন মূল লক্ষ্য সেদেশের কট্টরপন্থীদের। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনাকে বিতাড়িত করার পর থেকে যেভাবে সেদেশের সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণের মাত্রা বাড়ছে তাতে উদ্বিগ্ন গোটা বিশ্ব। তারপরও কোনও হেলদোল নেই তাদের। এবার কট্টরপন্থীদের একাংশ বিভিন্ন সভা থেকে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে সম্প্রতি গ্রেফতার হওয়া ইসকন সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস সহ প্রায় চল্লিশজনকে খুন করার জন্য উস্কানি দিচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে।
খুলনা, সিলেট সহ বেশ কিছু জায়গায় উস্কানিমূলক মন্তব্য করছেন বাংলাদেশের কট্টরপন্থীরা। তাঁরা বিভিন্ন সভা থেকে চিন্ময়কৃষ্ণ, তাঁর আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ সহ একাধিক হিন্দু নেতাকে খুনের জন্য সাধারণ মানুষকে উস্কাচ্ছেন বলে খবর। ওই টার্গেট তালিকায় বেশ কয়েকজন মুসলিম সম্প্রদায়ের বুদ্ধিজীবীও আছেন। এছাড়া শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগেরও বেশ কয়েকজন নেতার নাম রয়েছে সেই তালিকায়।
জানা গিয়েছে, বিভিন্ন জলসা থেকে ওই ধরনের উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে। মূলতঃ ধর্মীয় জলসায় সাধারণ মানুষকে বলা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী হাসিনার ঘর ভাঙচুর, লুঠপাট চালানোর পরেও কারও কিছু হয়নি। ছাত্র বিক্ষোভের জেরে বহু বড় বড় রাজনীতিবিদকে খুন করা হলেও পুলিশ কারও বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। একাধিক বাড়ি, গাড়ি, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর বা লুঠপাট করেও পার পেয়ে গেছেন বিক্ষোভকারীরা। তাই চিন্ময়কৃষ্ণ সহ বাকিদের খুন করা হলে পুলিশ কিছু করবে না বলে উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলছেন বেশ কয়েকজন কট্টরপন্থী মৌলবাদী।
এমতাবস্থায় জেলবন্দি চিন্ময় ও তাঁর সহযোগী সহ প্রতিবাদীদের একটা বড় অংশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা যে প্রশ্নের মুখে তা বলাই বাহুল্য।