Upload By K. Halder at 10th March 2025, 06:50 AM
বঙ্গবার্তা ব্যুরো,
তৃতীয় কোনো দেশে পণ্য রপ্তানিতে ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে ভারতের একটি শুল্ক স্টেশন ব্যবহার করে অন্য কোনো বন্দর বা বিমানবন্দর ব্যবহার করার সুযোগ পেত বাংলাদেশ।ভারতের মাটি ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে রপ্তানি পণ্য পাঠানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে দেওয়া সেই ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা প্রত্যাহার করে নিল দিল্লি। সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস এন্ড কাস্টমস একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।
ভারতের পোশাক শিল্পসহ বিভিন্ন রপ্তানিকারক গোষ্ঠী বা প্রতিষ্ঠান কেন্দ্র সরকারের কাছে এই সুবিধা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছিল। তাদের অভিযোগ বাংলাদেশের রপ্তানি কার্গোর জন্য দেওয়া এই সুবিধার কারণে ভারতীয় রপ্তানিকারকদের জন্য বিমান ও বন্দরে জায়গার সংকট তৈরি হয় এবং পরিবহন খরচ বেড়ে যায়। বিশেষ করে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো টার্মিনালে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হচ্ছিল।
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ কয়েকটি ভারতীয় বিমানবন্দর ব্যবহার করা হতো।২০২০ সালের জুন মাসে বাংলাদেশকে দেওয়া এই সুবিধাটি এখন থেকে বাতিল করা হল। তবে, ইতিমধ্যে ভারতে প্রবেশ করা কার্গো আগের নিয়মেই বহন করা যাবে।
ভারতের দেওয়া এই সুবিধায় বাংলাদেশ ভুটান, নেপাল ও মায়ানমারের মতো দেশগুলোতে রপ্তানির কাজ সহজ করেছিল।ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা এতদিন পণ্য পরিবহনের সময় ও খরচ কমাতে সাহায্য করেছে।২০২৩-২৪ সালে ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১২.৯ বিলিয়ন ডলার। এই সিদ্ধান্তের পর দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক কী দিকে মোড় নেয়, তা এখন দেখার বিষয়।
কদিন আগেই চিনে গিয়ে সেভেন সিস্টারস রাজ্যগুলো নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। ইউনূসের এই মন্তব্যের পরই কড়া প্রতিক্রিয়া জানান ভারতের একাধিক রাজনীতিক। ইউনূসের মন্তব্যের জবাবে, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর জানান এটা ‘চেরি-পিকিং’ বিষয় নয়।এরপরই বাংলাদেশের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করার মত সিদ্ধান্ত নিল ভারত।