মোক্তার-সমরেশ জুটি রাজ্যজুড়ে জাল পাসপোর্টের চক্র গড়ে তুলেছিল

পাসপোর্ট জালিয়াতির ঘটনায় একাধিক সরকারি কর্মী জড়িত বলে সন্দেহ পুলিশের। একাধিক ব্যক্তি গ্রেফতারের পর কলকাতা পুলিশের তদন্তকারীরা এমনটাই মনে করছেন। সেই তালিকায় পুলিশের নিচুতলার যেমন কেউ জড়িত থাকতে পারেন আবার পোস্ট অফিসেরও কারও যোগ থাকার সম্ভাবনা প্রবল। বিশেষ করে দুই ২৪ পরগনা, নদিয়া, হাওড়া এবং হুগলির বেশ কিছু পোষ্ট অফিস নজরে রয়েছে গোয়েন্দাদের। মঙ্গলবার দত্তপুকুর থেকে গ্রেফতার হওয়া মোক্তার আলমকে জেরা করে সন্দেহ আরও জোরালো হচ্ছে বন্ধুদের কাছে। কিছুদিন আগেই জাল পাসপোর্ট চক্রের অন্যতম পাণ্ডা সমরেশ বিশ্বাসকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাকে জেরা করেই মোক্তারের নাম উঠে আসে। মোক্তার ধরা পড়ার পর গোয়েন্দারা নিশ্চিত, পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ জায়গা জুড়ে এই পাসপোর্ট চক্রের জাল বিস্তার করেছিল। তদন্তকারীরা মনে করছেন, মোক্তার সমরেশের থেকেও বড় খেলোয়াড়। ইতিমধ্যেই সমরেশের সঙ্গে যোগাযোগ থাকা আমতা পোস্ট অফিসের এক অস্থায়ী কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন গোয়েন্দাদের। পোস্ট অফিসে আসা পাসপোর্ট ওই অস্থায়ী কর্মী সরাসরি তুলে দিতেন সমরেশ ও তার এজেন্টদের হাতে।
সমরেশ ভুয়ো পাসপোর্ট তৈরির চক্রের একজন গুরুত্বপূর্ণ মাথা ছিল বলেই জেনেছে পুলিশ। সমরেশ ও মোক্তার দুজনেরই প্রচুর এজেন্ট ও সাব এজেন্ট আছে এরাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়।
মোক্তারেরও এজেন্ট এবং সাব এজেন্ট রয়েছে। পাসপোর্ট কাণ্ডে ধৃতেরা মোটা টাকার বিনিময়ে অনুপ্রবেশকারীদের নাম, ঠিকানা, ধর্ম সমস্ত বদলে দিয়ে তৈরি করে দেওয়া হত নতুন পরিচয়পত্র। বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে লোক পারাপার করাতো মূলতঃ মোক্তার ও তার সহযোগীরা।

11:47