শ্রীশ্রীঠাকুর আর্য্যরা প্রধানতঃ সত্তাবাদী। প্রবৃত্তির ঝোঁকে তারা সত্তাকে minimise (খাটো) ক’রে দেখতে নারাজ। সত্তার পূজারী যারা, তারা স্বভাবতঃই হয় উৎসমুখী। পিতৃপুরুষ, ঋষি-মহাপুরুষ ও ঈশ্বরের প্রতি তারা normally (সহজভাবে) ovation (সম্মাননা) নিয়ে চলে। Past (অতীত)-কে তারা কখনও অস্বীকার করে না। Past experience-এর (অতীত অভিজ্ঞতার) উপর দাঁড়িয়ে তারা বর্তমানের সম্মুখীন হয়। Recorded past experience (লিপিবদ্ধ অতীত অভিজ্ঞতা)-কে বলা যায় শাস্ত্র বা বিজ্ঞান। মনুষ্যলব্ধ জ্ঞান, বিজ্ঞান ও সত্তাসম্বর্দ্ধনী রীতি, নীতি ও প্রথাকে বাস্তবজীবনে apply (প্রয়োগ) ক’রে চলার tradition (ঐতিহ্য) আর্য্যদের স্বভাবগত। এইভাবে চললে ঠকার সম্ভাবনা কম থাকে। Whims (খামখেয়ালীপনা)-কে যারা প্রশ্রয় দিয়ে চলে, তাদের progress (উন্নতি) hampered (ব্যাহত) হ’তে বাধ্য। আর্য্যরা যে নিত্য progressive (প্রগতিশীল), তার একটা প্রধান কারণ তারা বিদিত বেদকে বরবাদ করে, খেয়ালের তাড়নায় যথেচ্ছ চলনে চলে না। নূতনকে আমন্ত্রণ করার বৃদ্ধি তাদের যেমন আছে, তেমনি আছে যুগ-যুগ ধ’রে যা’ ভাল ব’লে প্রমাণিত হয়েছে, সাময়িক উল্টো হুজুগকে উপেক্ষা ক’রে তা’ আঁকড়ে থাকার দৃঢ়তা। এই হিসাবে সমীচীন গোঁড়ামির একটা মূল্য আছে। Reasonable conservativeness (যুক্তিযুক্ত রক্ষণশীলতা) আর্য্যদের একটা বৈশিষ্ট্য। ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্য ও কুলগত বৈশিষ্ট্য preserve (রক্ষা) ক’রে চলতে চায় তারা। আর্য্যদের culture (কৃষ্টি) তাই এত varied (বৈচিত্র্যপূর্ণ)। এত variety (বৈচিত্র্য) সত্ত্বেও unity (ঐক্য) maintained (রক্ষিত) হয় বৈশিষ্ট্যপালী আপুরয়মাণ একাদর্শের প্রতি আনুগত্যের ভিতর-দিয়ে। আমার মনে হয় এইগুলিই হ’লো আর্য্যদের main characteristics (প্রধান বৈশিষ্ট্য)। অবশ্য, আমি history (ইতিহাস) জানি না। ধারা, ধরণ যা’ দেখি, বুঝি, তা’ থেকে এই মনে হয়। (আঃ প্রঃ দশম খণ্ড, পৃঃ ২০৫-২০৬)