হাওড়া স্টেশনকে বলা হয় গেটওয়ে অফ ইস্ট। এই স্টেশন দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ১০ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করেন। মেইল, এক্সপ্রেস এবং লোকাল ট্রেন মিলিয়ে আপ এবং ডাউনে প্রায় ৬০০টি ট্রেন চলে। কিন্তু জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে স্টেশনে যাত্রী চাপ বাড়তে থাকায় দেখা দেয় একাধিক সমস্যা। হাওড়া স্টেশনের ওল্ড এবং নিউ কমপ্লেক্স এ প্লাটফর্মের সংখ্যা কম থাকায় ট্রেন ঢুকতে বা বের হতে সমস্যা দেখা দেয়। এর ফলে টাইম টেবিল অনুযায়ী ট্রেন চালানো কার্যত অসম্ভব হয়ে যায়। এর পাকাপাকি সমাধান করতে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করেছে পূর্ব রেল। যেখানে সালকিয়ায় ১২০ বছরের পুরানো বেনারস ব্রিজ এবং হাওড়া ময়দান এর কাছে ৯১ বছরের পুরনো চাঁদমারি ব্রিজ ভেঙে ফেলা হবে। যাতে হাওড়া স্টেশন ঢোকার আগে ট্রেন লাইনের সম্প্রসারণ করা যায়। আগে যেখানে বেনারস ব্রিজের নিচে ট্রেন চলাচলের জন্য ৩৬ মিটার জায়গা ছিল সেটা বাড়িয়ে ৬৬ মিটার করা হচ্ছে। একইভাবে চাঁদমারি ব্রিজের নিচে লাইন পাতার জায়গা ৬০ মিটার থেকে ১৩৪ মিটার করা হচ্ছে। এছাড়াও হাওড়া রেল ইয়ার্ডের কাছে চারতলা বাড়ি বানানো হবে। সেখান থেকেই ইন্টারলকিং সিগন্যাল সিস্টেম নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এছাড়াও কবজ সিস্টেম চালু করা হবে। পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশনের ডিআরএম সঞ্জীব কুমার জানিয়েছেন বেনারস রোড ব্রিজ এবং চাঁদমারি ব্রিজের পাশে চওড়া কেবল ব্রিজ তৈরির কাজ চলছে। পুরানো ব্রিজ গুলি ভেঙে ফেলা হবে। যাতে হাওড়া স্টেশনে ঢ়োকা এবং বেরোনোর লাইনের সংখ্যা এবং সিগনাল পয়েন্টের সংখ্যা বাড়ানো যায়। এর পাশাপাশি হাওড়া স্টেশনে পূর্ণ দৈর্ঘ্যের একাধিক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হচ্ছে। এর ফলে ট্রেন যাতে প্লাটফর্ম থেকে বেরিয়ে না যায় তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এতে যাত্রীদের অসুবিধা কমবে। তিনি আরো বলেন হাওড়া স্টেশনের পাশে ডিআরএম বিল্ডিং রেল মিউজিয়ামের পাশে সরানো হচ্ছে। কাজ পুরোদমে হচ্ছে। তবে হাওড়া স্টেশন যেহেতু ঐতিহ্যবাহী বিল্ডিং সেই কারণে বাইরের অংশের কোন পরিবর্তন করা হবে না। যাত্রীদের সুবিধার জন্য ভিতরের অংশের কিছু পরিবর্তন করা হবে।