মহম্মদ বিন তুঘলক ও হীরক রাজার মিলিত চরিত্র মুহাম্মদ ইউনূস

বয়স কালে বুদ্ধি নাশ। কথাটা যে বাস্তব সত্য তা মুহাম্মদ ইউনূসকে দেখলেই বোঝা যায়। ৮৪ বছর বয়সী নোবেলজয়ী ইউনূসকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আর দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই একের পর এক খামখেয়ালি সিদ্ধান্ত নিয়ে চলেছেন। অনেকেই তাঁকে মহম্মদ বিন তুঘলকের উত্তরসূরি বলতেও পিছপা হচ্ছেন না। ইউনূসের একের পর এক হাস্যকর সিদ্ধান্তে অনেকেই তাঁকে অশিক্ষিত মৌলবাদীদের সঙ্গেও তুলনা করতে ছাড়েননি।
সম্প্রতি বাংলাদেশের ৫০ জন বিচারপতির ভারতে প্রশিক্ষণ নিতে আসার কথা ছিল। ভারতের খরচেই তাঁদের প্রশিক্ষণের কথা থাকলেও হঠাৎই বাতিল করে দিয়েছেন ইউনূস। প্রশ্ন উঠছে, অনুমতি দেওয়ার পরেও কেন ওই বিচারপতিদের ভারতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত বাতিল করা হল?
এদিকে সেনাবাহিনীর মহড়ায় গিয়েও বিতর্কিত মন্তব্য করতে দেখা গেছে ইউনূসকে। রবিবার দুপুরে রাজবাড়ি মিলিটারি ট্রেনিং এরিয়ার খাপুড়া ও চর রামনগর এলাকায় সেনাবাহিনীর মহড়ায় যোগ দেন ইউনূস। সেখানে তিনি যুদ্ধ নিয়ে কথা বলেন। ইউনূস বলেন, ‘মহড়া থেকেই বাস্তবের প্রস্তুতি। যাতে প্রকৃত যুদ্ধে আমরা সফল ভাবে বিজয়ী হতে পারি। সেনাবাহিনীর লক্ষ্যই হল সব পরিস্থিতিতে দেশকে রক্ষা করা, বিজয়ী হওয়া। যে কোনও মুহূর্তে প্রয়োজনে পূর্ণ সাহস এবং পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে হয়।’
তার বক্তব্যেই পরিষ্কার হয়ে উঠেছে তিনি কতটা যুদ্ধ পিয়াসী। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য ছাত্র আন্দোলনের পিছনে ইউনূসের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে দাবি করেন। সেই দাবি যে অনেকাংশেই সত্য তা তাঁর বৃদ্ধ বয়সে যুদ্ধ মনোভাবাপন্ন ভাবনাতেই স্পষ্ট।
তবে এত কিছুর পরেও ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে রবিবার মৎস্যজীবী আদান প্রদান হয়। ভারত বাংলাদেশের ৯০ জন মৎস্যজীবীকে মুক্তি দেয়। বাংলাদেশও ভারতের ৯৫ জন মৎস্যজীবীকে মুক্তি দিয়েছে। গত কয়েক মাস যাবত যেভাবে দুই দেশের মধ্যে বিদ্বেষ তৈরি হয়েছে তাতে মৎস্যজীবীদের মুক্তির বিষয়টি দু’দেশের সম্পর্কে কিছুটা হলেও মলম লাগাতে সাহায্য করবে।
এদিকে ইংল্যান্ডে হাসিনার আর এক আত্মীয়ার ফ্ল্যাটের হদিস পাওয়া গেছে। এই আত্মীয়াও এক আইনজীবীদের কাছ থেকে ফ্যাটটি উপহার হিসেবে পেয়েছিলেন।